Sentence কাকে বলে? Sentence কত প্রকার ও কী কী?

বন্ধুরা, আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন অনেক কথা বলি, লিখি। কিন্তু আমরা কি জানি আমরা যেসব কথা বলি বা লিখি, সেগুলোকে আসলে কী বলে? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছ! সেগুলোকেই বলা হয় “বাক্য”। কিন্তু আবার প্রশ্ন জাগে, বাক্য আসলে কী? আর কত প্রকারের বাক্য আছে?
Sentence কাকে বলে? Sentence কত প্রকার ও কী কী?
ভাষার সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে আমরা কী অজান্তেই কত রকম বাক্য ব্যবহার করে ফেলি! কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, মূলত বাক্য কত প্রকার হতে পারে? আর সেগুলো আমাদের লেখায় কীভাবে কাজে লাগে? চলুন, আজ একসাথে সেই রহস্য উন্মোচন করি।

Sentence বা বাক্য কাকে বলে?

আমরা কথা বলি, গান গাই, লিখি – সবকিছুরই মূল ভিত্তি হলো বাক্য। কিন্তু ঠিক কী সে এই বাক্য? মাত্র কয়েকটি শব্দ একসাথে রেখে কি বাক্য তৈরি করা যায়? না, বাক্য আরো কিছু।
বাক্যের সংজ্ঞা: এক বা একাধিক শব্দের সমাহার যা কোনো সম্পূর্ণ ধারণা বা ভাব প্রকাশ করে তাকেই বাক্য বলে। উদাহরণস্বরূপ, “সূর্য উঠেছে” – এই চারটি শব্দ সম্পূর্ণ একটি ভাব প্রকাশ করছে, তাই এটি একটি বাক্য।
বাক্যের উপাদান: একটি সুগঠিত বাক্য সাধারণত দুইটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত:
  • কর্তা: যে সম্পর্কে কিছু বলা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি, জিনিস, বা ধারণা। যেমন, “ছাত্র” (ছাত্র পড়াশোনা করে)।
  • ক্রিয়া: কর্তা কী করে, কী করেছে, বা কী করবে, সেই বিষয়টি প্রকাশ করে। যেমন, “পড়াশোনা করে” (ছাত্র পড়াশোনা করে)।
বাক্যের প্রকারভেদ: ভাব প্রকাশের ধরন অনুযায়ী বাক্য বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। কয়েকটি সাধারণ প্রকারভেদ হলো:
  • বিবৃতিমূলক বাক্য: কোনো ঘটনা, অবস্থা, বা মতামত জানায়। যেমন, “আজ আবহাওয়া ভালো আছে।”
  • প্রশ্নবোধক বাক্য: কোনো প্রশ্ন জানায়। যেমন, “কোথায় যাচ্ছ?”
  • আদেশমূলক বাক্য: কোনো কাজ করতে আদেশ দেয়। যেমন, “দরজা বন্ধ করো।”
  • আশ্চর্যবোধক বাক্য: অবাক বা বিস্ময় প্রকাশ করে। যেমন, “ওমা! কী সুন্দর গান!”
শব্দগুচ্ছ মাত্র নয়, বাক্য হলো ভাব প্রকাশের শক্তিময় মাধ্যম। এই লেখাটি বাক্যের সংজ্ঞা, উপাদান, ও প্রকারভেদ সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দিয়েছে। বাংলা ভাষার সঠিক ও সাবলীল ব্যবহারের জন্য বাক্য গঠনের নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই শুদ্ধ বাক্য গঠনের অভ্যাস করে ভাষাকে সুন্দর ও সাবলীল করুন।

Sentence এর প্রকারভেদ

আপনার কি মনে হয় ভাষা শেখা শুধু নিয়ম মেনে চলা? ভুল! ভাষা জীবন্ত, তার রয়েছে নানা রূপ, নানা মেজাজ। আর সেই রূপগুলোই প্রকাশ পায় Sentence এর প্রকারভেদে। আজকে আমরা ঢুকে পড়ব এই জাদুকরের জগতে, আর জানব কীভাবে Sentence এর বিভিন্ন রূপ ব্যবহার করে আপনার লেখাকে করবেন আরও সাবলীল ও আকর্ষণীয়।
  1. বিবৃতিমূলক বাক্য (Assertive Sentence): যে বাক্যে কোনো কিছুর বর্ণনা বা ঘটনা প্রকাশ করা হয়, সেই বাক্যকেই বলে বিবৃতিমূলক বাক্য। যেমন, “সূর্য পশ্চিমে ডুবে গেল।”
  2. প্রশ্নবোধক বাক্য (Interrogative Sentence): যে বাক্য দিয়ে কোনো প্রশ্ন করা হয়, তাকে বলে প্রশ্নবোধক বাক্য। যেমন, “কখন আসবে?”
  3. আদেশমূলক বাক্য (Imperative Sentence): যে বাক্য দিয়ে কোনো কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাকে বলে আদেশমূলক বাক্য। যেমন, “দরজা বন্ধ করো।”
  4. আশাব্যঞ্জক বাক্য (Optative Sentence): যে বাক্যে কোনো আশা, ইচ্ছা, বা প্রার্থনা প্রকাশ করা হয়, তাকে বলে আশাব্যঞ্জক বাক্য। যেমন, “কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে ইচ্ছে করে!”
  5. বিস্ময়সূচক বাক্য (Exclamatory Sentence): যে বাক্যে কোনো বিস্ময়, আনন্দ, বা দুঃখ প্রকাশ করা হয়, তাকে বলে বিস্ময়সূচক বাক্য। যেমন, “ওমা! কী সুন্দর পাহাড়!”
এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Sentence এর প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন:
  • সংযুক্ত বাক্য (Compound Sentence)
  • মিশ্র বাক্য (Complex Sentence)
  • সার্বিক বাক্য (Simple Sentence)

আপনি কীভাবে এই জ্ঞান কাজে লাগাবেন?
  • আপনার লেখাকে আরও বিচিত্র ও আকর্ষণীয় করতে Sentence এর বিভিন্ন প্রকারভেদ ব্যবহার করুন।
  • প্রশ্নবোধক বাক্য দিয়ে পাঠককে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
  • আদেশমূলক বাক্য দিয়ে নির্দেশনা দিন।
  • আশাব্যঞ্জক বাক্য দিয়ে আবেগ প্রকাশ করুন।
  • বিস্ময়সূচক বাক্য দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
Sentence এর বিভিন্ন প্রকারভেদ জানা আপনার ভাষা দক্ষতা বাড়িয়ে দেবে। তাই আর দেরি কেন? আজই শুরু করুন অনুশীলন!

Sentence কত প্রকার ও কী কী?

বাংলা ভাষায় Sentence কে বাক্য বলে। বাক্য হলো দুই বা ততোধিক শব্দের সমষ্টি যা সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে। বাক্যের শেষে পূর্ণবিরাম (.), প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বা বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) থাকে।

বাক্যের মূল শ্রেণী:

বাংলা গ্রামারে সাধারণত বাক্যকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা হয়:
বিবৃতিমূলক বাক্য:
এই ধরনের বাক্য কোনো ঘটনা, তথ্য, মতামত বা বিশ্বাস প্রকাশ করে। যেমন:
  • রাত হয়ে গেছে।
  • পদ্মা আমাদের দীর্ঘতম নদী।
  • আমি চা খেতে ভালোবাসি।
প্রশ্নবোধক বাক্য:
এই ধরনের বাক্য দিয়ে কোনো প্রশ্ন করা হয়, যার উত্তর পাওয়ার আশা থাকে। যেমন:
  • কখন ফিরবেন?
  • কে জিতেছে?
  • এই রাস্তাটা কোথায় যায়?
আদেশমূলক বাক্য:
এই ধরনের বাক্য দিয়ে কোনো কাজ করতে আদেশ, অনুরোধ বা নিষেধ করা হয়। যেমন:
  • জানালাটা বন্ধ করে দাও।
  • দয়া করে একটু চুপ থাকো।
  • খেলার মাঠে ছুটোনা চলে না।
বিশেষ ধরনের বাক্য:
এছাড়াও, কিছু বিশেষ ধরনের বাক্য রয়েছে, যেমন:
  • বিস্ময়সূচক বাক্য: অবাক হয়ে কোনো বিষয় প্রকাশ করে। যেমন: ওমা! সত্যি?
  • ইচ্ছাপূরক বাক্য: কোনো ইচ্ছা বা আশা প্রকাশ করে। যেমন: কাল বৃষ্টি না হলে ভালো হতো।
  • সংশয়সূচক বাক্য: কোনো বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে প্রশ্ন তোলে। যেমন: হয়তো সে আসবে না।
বাক্যের সঠিক প্রয়োগ:
বিভিন্ন প্রকারের বাক্য সঠিকভাবে ব্যবহার করা আমাদের লেখা ও কথাকে চাটুকার ও প্রভাবময় করে তোলে। তাই, বিভিন্ন প্রকারের বাক্যের ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করে নিজের ভাষাকে আরো সাবলীল ও আকর্ষণীয় করে তুলুন।
বাক্যের রাজ্যে ভ্রমণ এখন শুরু মাত্র! ভাষাচর্চা চালিয়ে যান, নতুন নতুন বাক্য কাঠামো আয়ত্ত করুন এবং নিজের ভাব প্রকাশের দক্ষতা আরো ঝাঝরা করে তুলুন।

Assertive Sentence (বর্ণনামূলক বাক্য)

আপনি কি কখনো লিখতে বসে ভাবেন, “কীভাবে লিখব, যাতে আমার কথাটা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়?” এই প্রশ্নটা হয়তো প্রত্যেক লেখকেরই মনে আসে। আর সেই স্পষ্টতা আনতে সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হলো বর্ণনামূলক বাক্য (Assertive Sentence)।

বর্ণনামূলক বাক্য কী?

যে বাক্য কোনো বিষয় সম্পর্কে সরাসরি ও নিঃসন্দেহে কিছু বলে, তাকে বর্ণনামূলক বাক্য বলে। এগুলো কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না, কোনো অনুমতি চায় না, শুধু স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে কিছু একটা।
উদাহরণ:
  • বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। (এখানে কোনো প্রশ্ন বা অনুমতি নেই, সরাসরি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে)
  • আমি লেখা পছন্দ করি। (এখানে লেখকের নিজের পছন্দটি নিঃসন্দেহে প্রকাশ করা হয়েছে)
বর্ণনামূলক বাক্য কীভাবে লিখবেন?
  • বিষয় ও ক্রিয়া সঠিকভাবে ব্যবহার করুন: স্পষ্ট বিষয় ও সম্পর্কিত ক্রিয়া দিয়েই বাক্য শুরু করুন। যেমন, “সকাল বেলাটা আমার পছন্দ।”
  • অ unnecessary শব্দ এড়িয়ে চলুন: বাক্য যত বেশি সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট, তত বেশি শক্তিশালী হবে।
  • সক্রিয় কণ্ঠ ব্যবহার করুন: সক্রিয় কণ্ঠ বাক্যকে আরও জীবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। যেমন, “আমি খেলা শেষ করলাম,” এর চেয়ে “খেলা শেষ হলো” বললে বাক্যটি কম জোরালো লাগবে।
  • বিশেষণ ও বিশেষ্য বিশেষক সাবধানে ব্যবহার করুন: অতিরিক্ত বিশেষণ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
বর্ণনামূলক বাক্যের সুবিধা:
  • আত্মবিশ্বাসী ভাব তৈরি করে: স্পষ্ট ও দৃঢ় বাক্য আপনার লেখাকে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখায়।
  • পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে: সরাসরি বিবৃতি পাঠককে চমকে দেয় এবং মনোযোগ ধরে রাখে।
  • লেখাকে সংক্ষিপ্ত ও সাবলীল করে তোলে: অ unnecessary শব্দ এড়িয়ে বাক্য সাজালে লেখা হয় সংক্ষিপ্ত ও সাবলীল।
বর্ণনামূলক বাক্য লিখতে শেখা আপনার লেখাকে আরও শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই এই টিপসগুলো ব্যবহার করে নিজের লেখায় স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাসের ভাব আনতে পারেন। মনে রাখবেন, নিয়মিত অনুশীলনই আপনাকে একজন দক্ষ লেখক হতে সাহায্য করবে।

Interrogative Sentence (প্রশ্নবোধক বাক্য)

আমাদের জীবন মূলত প্রশ্ন আর উত্তরের খেলা। কী, কেন, কখন, কীভাবে, কে, কোথায় – এইসব প্রশ্নই তো জ্ঞানের দুয়ার খুলে দেয়। আর এই প্রশ্নগুলোই আসলে প্রশ্নবোধক বাক্যের রূপ নেয়। তাই আজকে আমরা এই বিশেষ ধরনের বাক্য সম্পর্কেই আলোচনা করব।

প্রশ্নবোধক বাক্য কী?

প্রশ্নবোধক বাক্য হলো এমন বাক্য, যা কোনো তথ্য জানতে, নিশ্চিত হতে, মতামত নিতে বা আদেশ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এই বাক্যগুলোর শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) থাকে।
প্রশ্নবোধক বাক্যের প্রকারভেদ:
  • হ্যাঁ/না জবাব প্রত্যাশী প্রশ্ন: এগুলোর উত্তরে হ্যাঁ বা না বলা যায়। যেমন, “আজকে কি স্কুল আছে?”
  • তথ্য জানতে চাওয়া প্রশ্ন: এগুলো কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, “এই বইটার লেখক কে?”
  • নির্দেশ/অনুরোধ/আহ্বান জানানো প্রশ্ন: এগুলো আদেশ, অনুরোধ বা আহ্বান জানাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, “আমাকে একটু সাহায্য করবে?”
প্রশ্নবোধক বাক্য ব্যবহারের কৌশল:
  • প্রশ্ন স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত করুন।
  • প্রশ্নের সঙ্গে সম্মান দেখান।
  • প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পর ধন্যবাদ জানান।
প্রশ্নবোধক বাক্য ব্যবহারের উপকারিতা:
  • জ্ঞানার্জন ও বোঝাপড়া বাড়ায়।
  • সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
  • সৃজনশীল চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করে।
  • মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করে।
শেষ পর্যন্ত বলা যায়, প্রশ্নবোধক বাক্য হলো জ্ঞানের দুয়ার খুলে দেওয়ার মন্ত্র। তাই প্রশ্ন করতে কখনো ভয় পাবেন না। প্রশ্নই আপনাকে নতুন নতুন জগতের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেবে।

Imperative Sentence (অনুজ্ঞাসূচক বাক্য)

বাংলা ভাষায় বাক্যের বিভিন্ন রূপ আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো “অনুজ্ঞাসূচক বাক্য”। এই ধরনের বাক্যের মাধ্যমে আমরা কোনো কাজ করতে বলতে পারি, উপদেশ দিতে পারি, নিষেধ করতে পারি, অনুরোধ জানাতে পারি। কিন্তু, কীভাবে এগুলো লিখবেন? কীভাবে ব্যবহার করবেন?
এই পোস্টে আমরা অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের জাদুকরী খুঁজে বের করবো!

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কী?

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য হলো এমন বাক্য যার মাধ্যমে আমরা কাউকে কোনো কাজ করতে বলছি, উপদেশ দিচ্ছি, নিষেধ করছি, বা অনুরোধ জানাচ্ছি। এই ধরনের বাক্যে প্রায়শই “তুমি” বা “আপনি” থাকে না। কিন্তু, সেই অর্থই বোঝা যায়।
উদাহরণ:
আদেশ: দরজা বন্ধ করো। (এখানে “তুমি” বলা হয়নি, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে “তুমি” কে বলা হচ্ছে)
উপদেশ: সত্য কথা বলো। (এখানে “তুমি” বলা হয়নি)
নিষেধ: মিথ্যা কথা বলো না। (এখানে “তুমি” বলা হয়নি)
অনুরোধ: দয়া করে এক গ্লাস জল দাও। (এখানে “আপনি” বলা হয়নি)
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য লেখার টিপস:
ক্রিয়াপদকে প্রধান্য দিন। (যেমন: “খাও”, “পড়ো”, “যাও”)
সহায়ক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করতে পারেন। (যেমন: “এখনই খেয়ে ফেল”, “আজ পড়া শেষ করে ফেল”)
বাক্যটি সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট রাখুন।
শিষ্টাচার বজায় রাখুন, বিশেষ করে যখন আপনি “আপনি” ব্যবহার করছেন।
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বাংলা ভাষায় কথাবার্তাকে জীবন্ত করে তোলে। এই টিপস ব্যবহার করে আপনি সহজেই এই ধরনের বাক্য লিখতে পারবেন এবং নিজের কথা স্পষ্ট ও প্রভাবীভাবে বলতে পারবেন।

Optative Sentence (প্রার্থনা সূচক বাক্য)

 আজকে আমরা ভাষার এক মায়াময় দিক নিয়ে আসছি, সেটা হলো প্রার্থনা সূচক বাক্য। এই বিশেষ ধরনের বাক্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের শুভেচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আশীর্বাদ ইত্যাদি প্রকাশ করতে পারি। চলুন, দেখে নেওয়া যাক প্রার্থনা সূচক বাক্য কীভাবে আমাদের ভাষাকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলতে পারে।

প্রথমেই জানা যাক, প্রার্থনা সূচক বাক্য ঠিক কী?

যেসব বাক্যের মাধ্যমে আমরা কারো জন্যে ভালো কিছু কামনা করি, তাদেরই বলা হয় প্রার্থনা সূচক বাক্য। সাধারণত এই বাক্যগুলো “may” শব্দটি দিয়ে শুরু হয়। যেমন, “May you be happy always” (সর্বদা তুমি সুখী হও)। তবে শুধু “may” নয়, “may God bless you” (ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন) এর মতো বাক্যও প্রার্থনা সূচক বলে বিবেচিত হয়।

প্রার্থনা সূচক বাক্যের গুরুত্ব কী?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রার্থনা সূচক বাক্যের ব্যবহার অনেকটাই উপকারী। এর মাধ্যমে আমরা:
  • আপনজনদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে পারি। “May you achieve all your dreams” (তুমি তোমার সব স্বপ্ন পূরণ করো) – এই বাক্যটির মাধ্যমে আমরা ঐ ব্যক্তিকে আমাদের সমর্থন ও উৎসাহ জানাতে পারি।
  • অন্যদের জন্যে শুভেচ্ছা জানাতে পারি। “May the storm pass quickly” (ঝড়টা যেন তাড়াতাড়ি কেটে যায়) – এই বাক্যটির মাধ্যমে আমরা অসুবিধায় থাকা কাউকে আমাদের সহমর্মিতা জানাতে পারি।
  • আমাদের আশা ও বিশ্বাস প্রকাশ করতে পারি। “May the world be a peaceful place” (বিশ্বটা যেন শান্তিপূর্ণ হয়) – এই বাক্যটির মাধ্যমে আমরা ভালো ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের আশা প্রকাশ করতে পারি।
প্রার্থনা সূচক বাক্য আমাদের ভাষাকে করে তোলে আরও মর্মস্পর্শী ও কার্যকর। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মনে রাখলে আপনিও সাবলীলভাবে এই ধরনের বাক্য ব্যবহার করে আপনার ভাব প্রকাশ করতে পারবেন।

Exclamatory Sentence (বিস্ময়সূচক বাক্য)

ভাষার জাদুকর! কখনও কি মনে হয়েছে আপনার লেখা একটু বেশি শান্ত, একটু বেশি সোজা? আবেগ প্রকাশ করতে চান, কিন্তু কীভাবে তা লেখায় ধরবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আপনার জন্যেই আজকের আলোচনা – বিস্ময়সূচক বাক্য!
বিস্ময়সূচক বাক্য হলো এমন এক ধরনের বাক্য, যা আমাদের আবেগ, বিস্ময়, আনন্দ, দুঃখ, জোর দেওয়া ইত্যাদি প্রকাশ করে। সাধারণ বাক্যের শেষে আমরা পূর্ণবিরাম (।) দিলেও, বিস্ময়সূচক বাক্যের শেষে থাকে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!)।
বিস্ময়সূচক বাক্যের কাজ:
আবেগ প্রকাশ: “ওমা, কী সুন্দর!” (আনন্দ) / “আরে, কী করছিস!” (অবাক)
জোর দেওয়া: “আমি ঠিকই করব!” (দৃঢ়তা) / “এটা মেনে নিতে হবে!” (নির্দেশ)
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা: “কোথায় যাচ্ছিস?” (আগ্রহ) / “এটা কি সত্যি?” 
বাংলা লেখায় বিস্ময়সূচক বাক্য ব্যবহারের টিপস:
সঠিক জায়গায় ব্যবহার করুন: প্রয়োজন ছাড়া বেশি ব্যবহার করলে লেখা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে।
বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করুন: শুধু “ওমা” বা “আরে” নয়, “বাহ”, “হায়”, “ছি” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করুন।
স্বরভঙ্গির কথা ভাবুন: লেখার সাথে পাঠকের কাছে কেমন স্বরে পৌঁছাবে, সেটা মনে রাখুন।
বিস্ময়সূচক বাক্য আপনার লেখায় জীবন্ত ভাব এনে দেয়। তাই, নির্ভয়ে এগুলো ব্যবহার করুন, আর আপনার লেখাকে আরো আকর্ষণীয় ও পাঠকের মনে গেঁথে যাওয়া করুন!

Structure অনুসারে sentences তিন প্রকার

বাক্য তৈরির ক্ষেত্রে শুধু শব্দ জানাই যথেষ্ট না। Structure ঠিক থাকলেই মনের ভাব স্পষ্ট হয়। জানুন ৩ ধরনের Structure ও উদাহরণ!
বাংলা ভাষায় শব্দের সুন্দর সমন্বয়ই বাক্য গড়ে তোলে। কিন্তু শুধু শব্দ জানা থাকলেই হলো না। বাক্য ঠিকভাবে বোঝাতে এবং মনের ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে গেলে বাক্যের Structure-এরও গুরুত্ব অনেক।
এই লেখায় আমরা Structure অনুসারে বাক্যের ৩টি প্রধান প্রকার সম্পর্কে জানব, সেগুলোর উদাহরণ দেখব এবং বুঝব কীভাবে সঠিক Structure ব্যবহার করে সাবলীল বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে পারি।

সরল বাক্য: মূল কথা, সহজ সাজ

সরল বাক্যগুলো সাধারণত চারটি মূল উপাদানে গঠিত: কর্তা, ক্রিয়া, কর্ম এবং বিশেষ্য। এগুলোর মধ্যে কোনোটি না থাকলে সেটা পূর্ণ বাক্য হিসেবে বিবেচিত হয় না।
উদাহরণ:
  • মেয়েটি গান গায় (কর্তা + ক্রিয়া)
  • রাতে তারা আকাশে ঝিলিক閃লিক করে (কর্তা + ক্রিয়া + বিশেষ্য)
  • আমি তোমাকে চিঠি লিখছি (কর্তা + ক্রিয়া + কর্ম)
  • সরল বাক্য সাধারণ কথোপকথন ও লিখনায় বেশি ব্যবহৃত হয়। এগুলো সহজে বোঝা যায় এবং কথা বলার সাবলীলতা বাড়ায়।

জটিল বাক্য: একের ভিতরে আরেকটি

জটিল বাক্যগুলোতে একটি মূল বাক্য থাকে, তার সাথে একটি বা একাধিক আশ্রয়ী উপবাক্য থাকে। এই আশ্রয়ী উপবাক্য সাধারণত সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে শুরু হয়।
উদাহরণ:
  • যে গান গায়, তার মন আনন্দে ভরে ওঠে। (মূল বাক্য + আশ্রয়ী উপবাক্য)
  • সে জানত যে ঝড় আসছে, তাই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিল। (মূল বাক্য + আশ্রয়ী উপবাক্য)
  • আমি বই পড়ছিলাম, যখন সে হঠাৎ আমার ঘরে ঢুকে পড়ল। (মূল বাক্য + আশ্রয়ী উপবাক্য)
  • জটিল বাক্যগুলো একই সাথে একাধিক বিষয় বা চিন্তাধারা প্রকাশ করতে পারে। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বাক্য জটিল এবং বোঝার অসুবিধা হয়ে যায়।

যৌগিক বাক্য: দুই বাক্য যুক্ত হয়ে

যৌগিক বাক্যগুলো দুইটি বা তার বেশি স্বাধীন বাক্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়। এই বাক্যগুলোকে সংযোজক শব্দ যেমন কিন্তু, তাই, এবং, কারণ, যদি ইত্যাদি দিয়ে যুক্ত করা হয়।
উদাহরণ:
  • সকালে ঘুম থেকে উঠি, কিন্তু কাজের চাপে বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না। (যৌগিক বাক্য)
  • যে বইটা তুমি আমাকে ধার দিয়েছিলে, সেটা আমি পড়ে শেষ করেছি। (জটিল বাক্য)
  • ছেলেটি খেলতে খেলতে বলটা ভেঙে ফেলল। (সরল বাক্য)
  • তুমি যদি আগে বলতে, তাহলে আমি সাহায্য করতে পারতাম। (জটিল বাক্য)
  • সে গান গায়, নাচে, আবার অভিনয়ও করে। (যৌগিক বাক্য)
  • আমি স্কুলে যাই, ক্লাসে পড়ি, তারপর বিকেলে বাড়ি ফিরি। (যৌগিক বাক্য)
Structure অনুসারে বাক্যের তিন প্রকার সম্পর্কে জানার পর আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কীভাবে সঠিক Structure ব্যবহার করে স্পষ্ট এবং সাবলীল বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে পারেন। মনে রাখবেন, বাক্যের Structure যত সুন্দর এবং স্পষ্ট হবে, আপনার ভাব প্রকাশ তত সাবলীল ও আকর্ষণীয় হবে।

আজকে আমরা জানলাম বাক্য কী এবং কত প্রকারের বাক্য আছে। মনে রাখবেন, সঠিক ধরনের বাক্য ব্যবহার করে নিজের কথা সুন্দর ও পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা যায়। তাই, চেষ্টা করুন সঠিকভাবে বাক্য গঠন করে সুন্দর বাংলা ব্যবহার করতে!
Scroll to Top