অফলাইন এবং অনলাইনতবে আমরা এখানে সহজে কিভাবে কাটতে পারবেন সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো। সেই জন্য আমরা ২য়টা বেছে নিবো। কারণ অফলাইনে আপনাকে অবশ্যই রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটতে হবে। যেটা খুব বেশি সহজ বিষয় না।
তাই আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
এখানে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য মোট ৮টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আমি ধাপগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে লেখার চেষ্টা করবো।
প্রথম ধাপঃ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশান করাঃ
- আপনার পুরোপুরি নাম।
- আপনার ব্যাক্তিগত ই-মেইল।
- আপনার মোবাইল নাম্বার।
- পাসওয়ার্ড দিবেন।
- NID অথবা জন্মনিবন্ধন এবং নাম্বার সহ পাশে দিতে হবে।
- পোস্ট কোর্ড দিতে হবে।
- NID কার্ড অনুসারে আপনার ঠিকানা।
২য় ধাপঃ- Mobile ভেরিফাই করুন
৩য় ধাপঃ- Account লগ ইন করুন
একাউন্ট ফেরিভাই হওয়ার পর লগ ইন হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে যদি আবার এই ওয়েব সাইটে আসার প্রয়োজন হয় তাহলে নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে পারবেন।
সেজন্য আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড সেভ রাখতে হবে।
৪র্থ ধাপঃ- ট্রেন সার্চ করুন
একাউন্ট লগইন হয়ে গেলে আপনাকে সাইটের হোম পেইজে নিয়ে আসবে। সেখন থেকে আপনি কোন ট্রেনে ভ্রমন করবেন সেই ট্রেনের নাম লিখে সার্চ করতে হবে। অথবা কোন স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবেন এবং কোথায় গিয়ে যাত্রা শেষ করবেন এটাও এড করতে হবে। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আরো সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করছি।
From – আপনি যে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবেন।
To- আপনি যে স্টেশনে নামবেন বা যেখানে যাত্রা শেষ করবেন।
Date of Journey – এখানে আপনি যে সময়ে ট্রেনে ভ্রমন শুরু করবেন বা যেই দিন ট্রেনে যাত্রা শুরু করবেন সেই দিনটির তারিখ বাছায় করবেন।
৫ম ধাপঃ- ট্রেন এবং সিট বাছাই করুন
৬ষ্ট ধাপঃ – যাত্রীর তথ্য
এখানে আপনি ইন্টারফেস দেখলেই সকল বিষয়গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।
৭ম ধাপঃ- টিকেটের টাকা পরিশোধ
৮ম ধাপঃ- ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা
এটাকে আমি শেষ ধাপ হিসেবেই ধরেছি এই আর্টিকেলটিতে। আপনার উপরের সকল ধাপ শেষ হলেই কেবল মাত্র আপনি এই ধাপ এ আসতে পারবেন।
এবং সর্বশেষ ধাপে আপনি আপনার কেটে নেওয়া টিকিটটা ডাউনলোড করবেন এবং প্রিন্ট করে ট্রেনে ভ্রমন করতে পারবেন। টিকিট চেক করতে আসলে আপনি সেটা দেখালেই চলবে।
এজন্য আপনাকে বাড়তি কোন সমস্যায় পড়তে হবে না। ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম
অনেকেই টিকিট কেটে নেওয়ার পর ভ্রমন করতে চান না। তারা চাইলে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে ফেরত দিতে হবে। এবং কিছু চার্জ কেটে নেওয়া হবে এই জন্য।
যেমন,
(ক) যাত্রা শুরু করার ৪৮ ঘন্টা আগে যদি আপনি টিকিট ফেরত দেন তাহলে এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ হিসেবে কেটে রাখবে কর্তৃপক্ষ।
(খ) যদি আপনি ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফেরত দেন। মানে ২৪ ঘন্টার বেশি এবং ৪৮ ঘন্টার কম।
তাহলে ভাড়ার ২৫% কেটে নিবে পরিষেবা খরচ হিসেবে।
(গ) যদি ১২ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হয় তাহলে ৫০% এবং ৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা হলে ৭৫% কেটে নেওয়া হবে।
(ঘ) তবে ৬ ঘন্টার কম হলে সেই টিকিট ফেরত নেওয়া হয় না। সেজন্য আপনাকে অবশ্য টিকিট কাউন্টারের সামনে দাড়িয়ে থেকে সেই সময় যারা টিকিট কাটবে তাদেরকে দিতে হবে।
কি ধরনের পেমেন্ট সিস্টে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি ই-টিকিট এর জন্য?
অনেকেই মনে করেন হয়তো অনলাইনে পেমেন্ট করা অনেক ঝামেলা। তবে বর্তমানে আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট, নেক্সাস, ভিসা ও মাস্টার কার্ড এর মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কেটে নিতে পারবেন।
কারণ যাতায়াত ভাড়া ও সময় চিন্তা করলে অনলাইনে কাটা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। এবং টিকিট হারানোরও ভয় থাকে না। শেষ কথা
প্রযুক্তির যুগে আপনি প্রযুক্তির ব্যবহার জানলে অনেক সহজভাবেই আপনি কিছু কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ রেলওয়ে নয় পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের টিকিট ই আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে কেটে নিতে পারবেন।