মাথা ঘুরানো একটি মানসিক অসুস্থতার অবস্থা যা কারণে ব্যক্তির মন ও শরীর সমতুল্যভাবে ব্যালেন্স না থাকে। এই অসুস্থতার কারণ এবং কিভাবে প্রতিকার করা যাবে সে সম্পর্কে আজকের আলোচনায় আলোচনা করা হলো।
মাথা ঘুরানোর কারণ কি
মাথা ঘুরানোর কারণ অনেকগুলো হতে পারে। তবে কোনও নির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও অনেকের কাছে এটি নিয়মিত হয়। কিছু প্রধান কারণ হলো-
- অতিরিক্ত চাপ বা চিন্তা করা।
- ভ্রমণের সময় গতিশীল ভাবে চলাচল করা না থাকলে বা প্রকৃতির সাথে মিল না খাওয়া থাকলে।
- মানসিক চটপটি বা সমস্যার জন্য।
- ভ্রমণ এবং মাথা ঘুরানোর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যেমন নৌকা বা বিমানে বসে থাকা।
- খাদ্য বা পানীয় নির্বাচন ভুল করা থাকলে বা দুষ্টু খাদ্য পদার্থ গ্রহণ করা হলে।
মাথা ঘুরানো একটি সাধারণ সমস্যা যা সাধারণত ভারতে প্রচলিত। সেই সমস্যার কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এর জন্য প্রতিকার নেওয়া উচিত।
স্বাভাবিক মানসিক অবস্থা
মানসিক রোগ না থাকা হলেও কোন কোন সময় মাথা ঘুরানো হয় এটি স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এই অবস্থা সাধারণত বারবার হয় না কিন্তু সময়ের প্রথম দিকে এটি বেশি হতে পারে।
চলাচলের কারণে
লম্বা সময় চলাচল করলে মাথা ঘুরানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাস, ট্রেন, জাহাজ ইত্যাদি পরিবহনে অধিক সময় কাটানোর কারণে মাথা ঘুরতে পারে। আবার সবার জন্য সমস্যটি না হওয়া সম্ভব। কিছু লোকের কাছে পরিবহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয় এবং এর ফলে মাথা ঘুরানো হয়।
মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ
মাথা ঘুরানোর লক্ষণগুলি অনেকটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সাধারণত মানুষের মাথা ঘুরানোর লক্ষণগুলি নিম্নরূপ হতে পারে:
- শীতলতা বা উঁচু স্থান থেকে নিচে অপসারণের উদ্দেশ্যে হাঁটা।
- মাথাটি ঘুমন্ত হতে লাগে।
- মাথা ভারী হতে লাগে।
- চমৎকার আরোহ-অবরোহ প্রস্তুতি অর্জন করা কষ্টকর হয়ে উঠতে লাগে।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হতে লাগে।
- মাথা আঘাতের কারণে কিছু সময় ধারালো হতে পারে।
- মাথার আচেদ্য হতে লাগে।
মাথা ঘুরানোর লক্ষণগুলি সম্পর্কে একটি সতর্কতা আছে যে, এদের কোনও লক্ষণ হলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়
মানুষের জীবনে মাথা ঘুরানো অনেক সাধারণ একটি সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন স্বাস্থ্যসম্পর্কে সমস্যা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, চোখের দুর্বলতা ইত্যাদি। কিন্তু এই সমস্যার জন্য মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব মাথা ঘুরানোর কারণ এবং তার সমাধানের উপায় সম্পর্কে।
মাথা ঘুরানোর কারণ
মাথা ঘুরানোর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস এর কারণে এটি হতে পারে। আরেকটি কারণ হল আধুনিক জীবনযাত্রার একটি পাশাপাশি বস্তু থেকে বা মাধ্যমে ঘুরতে হয়ে যাওয়া, যেমন কম্পিউটার ব্যবহার করা, মোবাইল ফোন দেখা ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের দুর্বলতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, বার্তা দেওয়া গোলা ইত্যাদি এও একটি কারণ হতে পারে।
হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ
মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল মাথা। মাথা নিয়ে সমস্যা হলে সে দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়। হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এই লেখায় আমরা জানব হঠাৎ মাথা চক্কর হওয়ার কারণ এবং এর সমাধান।
স্বাস্থ্য সমস্যা
হঠাৎ মাথা চক্কর হলে সেই সময় আপনার শরীর তো ঠিক থাকতে পারে কিন্তু আপনার মন কমপক্ষে দুটি স্বাস্থ্য সমস্যার সন্দেহ রইলে হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একটি প্রাথমিক উদাহরণ হল বৈদ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. জহুরুল হক। তিনি কেন্দ্রীয় বৈদ্যক কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পর হঠাৎ মাথা চক্কর হয়ে তিনি জীবন হারালেন।
খাবারের অভাব
খাবারের অভাব হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার একটি প্রধান কারণ। একটি প্রাথমিক উদাহরণ হল প্রসিদ্ধ অভিনেতা জিৎ দাসগুপ্ত। তিনি একদিন সিনেমা শুটিং এর মধ্যে হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর জানা গেছে যে তিনি শুক্রবার হঠাৎ খাবারের অভাবে এমন হতে পারেন।
খাবারের অভাব থাকলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খাবারের অভাব আমাদের শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল জনিত সার্বিক সম্পৃক্ত হতে পারে। আর সেই সময় মাথা সম্পূর্ণ ফ্রেশ অক্সিজেন না পেতে পারে যা হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হতে পারে।
হঠাৎ মাথা চক্কর সমাধান
হঠাৎ মাথা চক্কর সমাধান নিয়ে কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো।
পর্যাপ্ত ঘুম নিন
পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া হলে মাথা চক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা কম হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম নেওয়া একটি উত্তম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যা শরীরের ক্ষতি সমন্বয়ে সাহায্য করে। ঘুমের পরিমাণ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা হলে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হয়।
পর্যাপ্ত খাবার নিন
পর্যাপ্ত খাবার নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার নেওয়া উচিত। প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল বিশেষত গরুর মাংস, মাছ, ডিম এবং সবুজ সবজি খাবারে থাকলে মাথা চক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পর্যাপ্ত পানি পান করা হলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং মাথা চক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা কম হয়। প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।