ঈদ ইসলামিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গৌরবময় ও মর্মব্যাপী উৎসব মধ্যে একটি। বাংলাদেশে ঈদের উপলক্ষে একটি দুটি উৎসবের প্রচুরভাগ পাওয়া যায় – ঈদ উল ফিতর এবং ঈদ উল আযহা। ঈদের ছুটি কয়দিন ২০২৩ এই উৎসবগুলি ধর্মীয় মেরিয়ে তুলে ধরে ও একটি সামাজিক পর্বও বানিয়ে তুলে। প্রতিবছরের মধ্যে ঈদের ছুটির দিনগুলি সংখ্যায় পরিবর্তন হতে পারে। ঈদের ছুটি কয়দিন ২০২৩ এই বিষয়ে আলোচনা করব। আসুন দেখে নেই কয়দিন আপনাকে উপভোগ করতে পারবেন এই সাম্প্রতিক ঈদের ছুটি।
ঈদের ছুটির দিনগুলি নির্ধারণ
ঈদের ছুটির দিনগুলি সাধারণত চাঁদের দেখা নিশ্চিত করার উপরে নির্ভর করে। ঈদ মাসের শেষের দিন চাঁদ দেখানো হয় এবং এটি আধিকারিকভাবে অনুমোদন পাওয়া পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয় না। ঈদের ছুটির দিনগুলি সর্বদা বিভিন্ন সংখ্যায় হতে পারে।
ঈদের ছুটি কয়দিন ২০২৩ সরকারি_ছুটি
তারিখ | দিন | ছুটির |
---|---|---|
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | মঙ্গলবার | শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস |
8 মার্চ ২০২৩ | বুধবার | শব-ই-বরাত |
১৭ মার্চ ২০২৩ | শুক্রবার | জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী |
২৬ মার্চ ২০২৩ | রবিবার | স্বাধীনতা দিবস |
১৪ এপ্রিল ২০২৩ | শুক্রবার | পহেলা বৈশাখ |
১৮ এপ্রিল ২০২৩ | মঙ্গলবার | শব-ই-কদর |
২১ এপ্রিল ২০২৩ | শুক্রবার | জুমাতুল বিদা |
২২ এপ্রিল ২০২৩ | শনিবার | ঈদুল ফিতর |
২৩ এপ্রিল ২০২৩ | রবিবার | ঈদুল ফিতর |
১ মে ২০২৩ | সোমবার | মে দিবস |
৫ মে ২০২৩ | শুক্রবার | বুদ্ধ পূর্ণিমা |
২৮ জুন ২০২৩ | বুধবার | ঈদুল আযহা |
২৯ জুন ২০২৩ | বৃহস্পতিবার | ঈদুল আযহা |
৩০ জুন ২০২৩ | শুক্রবার | ঈদুল আযহা |
২৯ জুলাই ২০২৩ | শনিবার | আশুরা |
১৫ অগাস্ট ২০২৩ | মঙ্গলবার | জাতীয় শোক দিবস |
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | বুধবার | শুভ জন্মাষ্টমী |
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | বৃহস্পতিবার | ঈদে মিলাদুন্নবী |
২৪ অক্টোবর ২০২৩ | মঙ্গলবার | বিজয়া দশমী |
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | শনিবার | বিজয় দিবস |
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | সোমবার | বড়দিন |
আগামী ২০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি এবং ঈদ পরবর্তী অফিস সময়সূচি
ঈদ উল ফিতর কী?
ঈদ উল ফিতর বা রমজান ঈদ মুসলিমদের পবিত্র উপবাসের (রমজান) পর আরবী মাসে অবস্থিত একটি মুসলিম উৎসব। এটি রমজান মাসের শেষের দিনে বাংলাদেশে ও অন্যান্য দেশগুলিতে পাওয়া যায়। ঈদ উল ফিতরের উপলক্ষে মুসলিমরা রমজানের ৩০ দিনের মধ্যে পবিত্র উপবাস অবলম্বন করেন।
ঈদ উল ফিতরের আদৌ পর্ব
ঈদ উল ফিতরের আদৌ পর্ব ঘোষণা করা হয় প্রতিবছর রমজানের শেষ তিন রক’আত জিকির এবং দু’টি রক’আত ঈদ নামাযের মাধ্যমে। এই উপলক্ষে ঈদ নামাযের সময় প্রথম শান্তিনিকেতন করা হয় এবং তারপরে দুইটি রক’আত নামায পড়া হয়।
ঈদ উল ফিতরের আমল
ঈদ উল ফিতরের দিন মুসলিমরা বিশেষ আমলের সাথে উঠে যান। সকালে উঠে গেলে সবচেয়ে প্রথমে তাকবীরে তাহরীম (আল্লাহু আকবর বলে ওঠা) বলে জিকির করা হয়। এরপরে গজর কাতা করে গোসল করলে মন্দে হয়না। তারপরে ঈদ নামায পড়তে হয়। নামায শেষে ইমাম সাহেবের দ্বারা খুতবা দেওয়া হয়। এরপরে মুসলিমরা একসঙ্গে হাতে হাত করে ঈদ মুবারক ও শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
ঈদ উল আযহা কী?
ঈদ উল আযহা হল বাংলাদেশে বা অন্যান্য মুসলিম দেশে উপলক্ষে পাওয়া যায় একটি পবিত্র ঈদ। এটি দ্বৈন্দিন্যপূর্ণভাবে পালন করা হয়। ঈদ উল আযহা মুসলিম সমাজের জন্য একটি মর্মব্যাপী উৎসব যা সামাজিক এবং আদর্শগত মানদণ্ডগুলি উত্সাহিত করে।
ঈদ উল আযহা উৎসবের আদৌ পর্ব
ঈদ উল আযহা উৎসবের আদৌ পর্বে মুসলিমরা ঈদ নামাযের জন্য আসতেন। এটি নামাযের পরে অন্যান্য সমাজের সদস্যদের সাথে মিলন করার একটি ভাল সুযোগ প্রদান করে। মানুষেরা একে অপরকে ঈদ মুবারক ও শুভেচ্ছা প্রদান করেন এবং একে অন্যকে উপহার দেয়।
ঈদ উল আযহা উৎসবের আমল
ঈদ উল আযহা উৎসবের দিন মানুষেরা বেশিরভাগ সময় সম্পর্কে উপবাস পালন করেন। এটি ধর্মীয়ভাবে মান্যতায় রয়েছে। ঈদ উল আযহা উৎসবের দিন মানুষেরা মসজিদে যাওয়ার জন্য সাজিয়ে থাকেন। এছাড়াও ঘরের পরিসরে পাঁচালি, পতাকা ব্যবহার করা হয়। ঘরের প্রান্তে ঈদ সজানো হয়। মুসলিম ভাই-বোনেরা পরস্পরের কাছে উপহার দেয় এবং একে অন্যকে ঈদ মুবারক ও শুভেচ্ছা জানায়। সকালে পরস্পরের কাছে গিয়ে হাতে হাত করে ঈদের উপলক্ষে দুআ করা হয়। এছাড়াও মানুষেরা দরিদ্রদের উপর দয়ার জন্য জাকাত দেয়। এই উপলক্ষে মানুষেরা দরিদ্রদের পাশাপাশি আহার ও কাপড় দান করেন।
ঈদ উল আযহা উৎসবের শেষ পর্ব
ঈদ উল আযহা উৎসবের শেষ পর্বে মানুষেরা অন্যদের সাথে মিলন করে উপভোগ করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাম্য এবং সুখের মহান অনুভব করা হয়। উপভোগ করার জন্য খাবারের বিভিন্ন পদার্থ প্রস্তুত করা হয়। মিষ্টি, পুঠি, সমোসা, বিরিয়ানি, খেজুর, সাদা চাল, মুরগির কারি, ইত্যাদি খাবার সাধারণত ঈদের সময় পরিবারে পরিবেশিত হয়। এর পর পরিবারের সদস্যদের সাথে খাবার ভাগ করে উপভোগ করা হয়।
ঈদের ছুটি মুসলিম সমাজের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি উত্সব। এটি ধার্মিকভাবে বোধ করা হয় এবং উপলক্ষে বিভিন্ন আমল, অনুষ্ঠান এবং আনন্দের পর্ব আয়োজিত করা হয়। ঈদের ছুটি সময় মানুষেরা কর্মপ্রণালী থেকে পাঠ নিয়ে অন্যদের সাথে সাংবাদিক হয়ে উপভোগ করেন। সংসারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো একটি ভাল সুযোগ তৈরি করে এবং আনন্দের দিনগুলি আরও স্মরণীয় করে।
ঈদের উপলক্ষে মানুষেরা একে অপরকে উপহার দেয় এবং একে অন্যকে ঈদ মুবারক ও শুভেচ্ছা জানায়। ঈদ উল আযহা একটি সংখ্যালঘু উত্সব, যেটি বাংলাদেশে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। ঈদের ছুটির সময় মানুষেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলন করে উপভোগ করেন, একে অন্যকে উপহার দেয় এবং দরিদ্রদের উপর দয়ার জন্য জাকাত দেয়। ঈদের ছুটি সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্নসমূহ উত্থাপন করা হয়েছে এবং এগুলির উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং সম্পর্ক উন্নত করতে ঈদের ছুটি একটি অপূর্ণ সুযোগ এবং বিশেষ অনুষ্ঠান। এটি আমরা বাংলাদেশে বিশেষ ভাবে উপলক্ষ্যে পালন করি এবং সামাজিক একতা ও আদর্শগত মানদণ্ডগুলি উত্সাহিত করে থাকি। ঈদের উপলক্ষে খাবারের বিভিন্ন পদার্থ প্রস্তুত করে উপভোগ করা হয়। এর পর পরিবারের সদস্যদের সাথে খাবার ভাগ করে দেয়া হয়। আর পরে ঈদ নামাজে যাওয়া হয় এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে মাগফিরত ও বরকত পেতে চেষ্টা করা হয়।
ঈদ উল আযহা একটি বিশেষ দিন, যেখানে মানুষেরা আনন্দে প্রতীত হয়। এটি আমাদের একটি মূল প্রাণালীর অংশ এবং ধর্মীয় পর্ব। এটি ধর্মীয় দিন হওয়ার পাশাপাশি এটি আনন্দের দিন হওয়ার প্রমাণ। এটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এবং মানুষকে মানবিকতা, প্রেম, আনন্দ এবং শান্তির ভাবনা তৈরি করে। সংসারের সদস্যদের সম্পর্ক ও আলোচনা বৃদ্ধি করে এবং আনন্দের দিনগুলি আরও স্মরণীয় করে।