শীতকালীন লাউ চাষ | হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি

যেই পদ্ধতিতে লাউয়ের ফলন হবে অনেক বেশি অনেকেই অভিযোগ করে বলেন বাড়ির ছাদে লাউ বাগানে লাউয়ের ফলন বেশি হয় না। কিন্তু আমাদের আজকের পোস্টেদেখানো প্রক্রিয়াটি যদি আপনি হুবহু অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার বাড়ির ছাদে টবের মধ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি আপনার লাউ গাছ পাবে এবং সেখান থেকে প্রচুর ফলন হবে।
হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি

শীতকালীন লাউ চাষ

শুধু আপনাকে নিয়ম জানতে হবে কিভাবে মাটি প্রস্তুত করবেন কি ধরনের বীজ রোপন করবেন কিভাবে বীজ থেকে চারা গজাবে এবং এর পরিচর্যা কি হবে। প্রিয় দর্শক এই পোস্টটিতে একটি সাকসেসফুল প্রজেক্ট আপনাদেরকে দেখাবো যার মাধ্যমে আপনারা নিজেরাই দেখতে পারবেন কি পরিমান ফলন হয়েছে হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি।
শীতকালীন লাউ চাষ
শীতকালীন লাউ চাষ
সর্বপ্রথম আমরা কিছু ভালো এবং মানসম্পন্ন লাভের বিট সংগ্রহ করবো তারপর বীজগুলো একটি বাটিতে সামান্য পরিমাণ পানি নিয়ে তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখব। এরপর ছোট ছোট প্লাস্টিকের পলিতে গোবর এবং জৈব সার মিশ্রিত মাটি ধরে নিব, তারপর প্রতিটি বলিতে একটি করে বীজ রোপন করে দেব আলতো করে।
শীতকালীন লাউ চাষ
শীতকালীন লাউ চাষ
বীজ রোপন করার পর পুনরায় কিছু সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে ঢেকে দেব কয়েক দিনের মধ্যেই বীজ গুরু থেকে চারা অঙ্কুরিত হবে। আমরা পোস্টটিতে কিছু প্লাস্টিকের গ্যালন সংগ্রহ করেছি কাটার দিয়ে আয় তোকার আকৃতিতে কেটে ফেলবো এবং অপরপাশে কয়েকটি ছিদ্র আগে থেকে করে দেবো যাতে পানি নিষ্কাশন এবং এয়ার সার্কুলেশনটা খুব ভালোভাবে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তারপর গ্যালনে গোবর এবং জৈব সার মিশ্রিত মাটি ভরে দেব, এ মাটি তৈরির প্রক্রিয়াটি না জানার কারণে আপনার কাজ পর্যাপ্ত পুষ্টিকুণ পায় না মনে রাখবেন এখানে আপনাকে কালো জাতের মাটি ব্যবহার করতে হবে। যার পরিমাণ হবে ৬০ ভাগ ২০ ভাগ হবে চালের বাদুষ আর বাকি ৩০ ভাগ হবে জৈব সার তো প্রিয় দর্শক এই মিশ্রিত মাটিগুলোকে আপনি গ্যালনে ভালো করে পুরো করে দিবেন। 
এবার আমরা পলিতে গজানো অঙ্কুরিত চারা গাছগুলো এই গ্যালনের মাটিতে পুঁতে দেব। আমরা প্রতিটি গ্যালনে দুইটি করে চারা গাছ রোপণ করব চারা রোপনের পর সামান্য পরিমাণ পানি ছিটিয়ে দেব। এরপর কিছু বাঁশের ফালি দিয়ে গ্যালন গুলোর পাশে এবং উপরে মাচান তৈরি করে দেব ৩০ দিন পর আমরা দেখতে পাব চারা গাছগুলো থেকে লাউয়ের গাছ গজাবে ৪০ দিন পর আমরা দেখতে পাবো আমাদের লাউ গাছ অনেকটাই বড় হয়ে যাবে।
প্রিয় দর্শক এর পাশাপাশি কিন্তু পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার বিষয়টা ভুলে যাবেন না, কয়েকদিন পর পর নিরানী দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি খুঁচিয়ে ঝুরঝুর ৭৫ দিন পর আমরা দেখতে পাব আমাদের লাউ গাছ অনেক বড় হয়ে যাবে এবং উপরের মাচাল পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এরমধ্যেই আমাদের লাউ গাছে ফুল ধরতে শুরু করবে হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি।
এই পর্যায়ে আমাদেরকে গাছের গোড়ার মাটি শুকনো খড়কুটো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঢেকে দেওয়ার পর পুনরায় স্প্রে বতনের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে দর্শক দেখতে পাচ্ছেন ৮৫ দিন পর আমাদের লাউ গাছ কতটুকু বড় হয়েছে। আমাদের লাউ গাছে লাউ ধরা শুরু করেছে ,আলহামদুলিল্লাহ।
শীতকালীন লাউ চাষ
শীতকালীন লাউ চাষ
৯৫ দিনের মাথায় আমাদের গাছের লাউ মাঝারি আকৃতিতে পৌঁছে গেছে এবং ১২৫ দিনের মাথায় আমাদের গাছের লাভ পরিপূর্ণ আকৃতি লাভ করেছে এবং পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। দর্শক দেখতে পাচ্ছেন চমৎকার হয়েছে আমাদের গাছের লাউ গুলো এখন খাওয়ার উপযোগী হয়ে গিয়েছে আমরা এখন গাছ থেকে লাউ সংগ্রহ করতে পারব।

হাইব্রিড লাউ চাষ পদ্ধতি

বীজ বপনের পূর্বে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে অঙ্কুরোদগম ভাল হয়। ভালো ফলনের জন্য বীজ মাদা তৈরী করে রোপন করতে হয়। ব্যাস ৫০-৫৫ সেমি, গভীরতা ৫০-৫৫ সেমি এবং নীচে ৪০-৪৫ সেমি। এই ক্ষেত্রে, সারি থেকে সারিতে ২ মিটার দূরত্বে এবং প্রতিটি সারিতে ২ মিটার দূরে বীজ বপন করা হয়।
২টি বীজ ২-৩ সেন্টিমিটার গভীরে বপন করতে হবে এবং অঙ্কুরোদগমের ৭ দিন পর সুস্থ চারা তুলে ফেলতে হবে। বীজ বপনের পর পর্যাপ্ত সেচের প্রয়োজন হয়। সেচ: লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতির ফলে ফলের সেট নষ্ট হয়ে যায় এবং যে ফলগুলো পাকা হয় সেগুলো ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে। সমস্ত লাউ জমি ভিজিয়ে বন্যা সেচ দেওয়া উচিত নয়। সেচ খাল থেকে সামান্য পানি নিয়ে শুধুমাত্র গাছের গোড়ায় সেচ দিন। শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৫-৭ দিন অন্তর সেচ দিতে হয়।
Scroll to Top