মেয়েদের জীবনের কিছু বাস্তব কথা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়া অভিশাপের মতো। কারণ, একটা মেয়ে সবসময় অসহায়, চলাফেরা, উঠা-বসা। নিজের ইচ্ছায় চলতেও পারে না। তাই মেয়ে মানেই অসহায়।
একটু ভেবে দেখুন- মেয়েরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিবারই অন্যের ওপর নির্ভরশীল। কখনো পরিবারের কাছে, কখনো স্বপ্নের কাছে, কখনো প্রিয়জনের কাছে, কখনো সমাজের কাছে, কখনো নিজের ইচ্ছার কাছে।
মেয়েদের জীবনের কিছু বাস্তব কথা
আমাদের সমাজে মেয়েদের স্বপ্ন ও ইচ্ছার কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। তাদের দাবি কখনোই বোঝা যায়নি। যদিও পৃথিবীর শুরু থেকে পুরুষদের তুলনায় নারীদের অবদান বেশি। একজন মানুষ যতই আভিজাত্য আর সৎ হোক না কেন, সে কখনই কাউকে মেয়ের মতো ভালোবাসতে পারে না।
প্রকৃতি মেয়েদের এই ক্ষমতা দিয়েছে। মেয়েদের হাত ধরেই পৃথিবী অনেক এগিয়েছে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সব মহান সৃষ্টিই চির ভালো. তার অর্ধেক নারী আর অর্ধেক পুরুষ।
মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মেয়ে মানুষ চিনেছেন বলে অহংকার করবে না। কেননা আপনি জানেন না আর একটি মেয়ে আপনাকে কি শিক্ষা দেবে। – জিলেন বাগেস।
মেয়েরা পুরুষকে সাধারণভাবে অবিশ্বাস করে, কিন্তু নির্দিষ্টভাৰে খুব কমই বিশ্বাস করে। – কমারসন।
তামরা পুরুষ মানুষ দুঃখের সঙ্গে লড়াই কর, মেয়েরা যুগে যুগে দুঃখ কেবল সহ্যই করে। চোখের জল আর ধৈর্য্য ছাড়া আর তাে কিছু সম্বল নেই তাদের। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কম বয়েসী মেয়ে মানুষ হল রসগােল্লার মতাে, যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে। – শংকর।
মেয়েদের মধ্যে অনেক সুন্দরী মেয়েলােক পাওয়া যায়, কিন্তু নির্ভুল মেয়েমানুষ পাওয়া কঠিন। – ভিক্টর হুগো।
কিছু মেয়ের মন প্রকৃতির মত বদলায়। – সাজু।
মেয়ে চরিত্রই হচ্ছে তাই, যখন আমরা ভালােবাসতে যাই তখন তাৱা ভালােবাসে না, যখন তারা প্রেম জানাতে আসে তখন আমরা তাদের ভালােবাসি না। – সেরভেনট…
দুটি বস্তূ মেয়েদের দ্বিতীয় জন্ম দেয়, একটি সুন্দর পােশাক আর অন্যটি হল প্রেমপত্র। – বালজাক।
মেয়ে মানুষ ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়, তবুও কোন মতে তাকে বিশ্বাস করবে না। – শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস।
মেয়েরা সাধারণত এত খারাপ যে, ভালাে এবং মন্দ মেয়ের মধ্যে কোনাে পার্থক্যই করা যায় না। – টলস্টয়।
মেয়েদের “হাঁ” “না” জবাবের মধ্যে আমি সুচাগ্র পরিমাণও তফাৎ দেখি না, কারণ ঐ দুটো তাদের অঙ্গে অঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। – সেরভেনটিস।
অহংকারী মেয়েদের নিয়ে কিছু কথা
অহংকার একটি মানসিক ব্যাধি। স্রষ্টার প্রদত্ত সমস্ত বই বা বিশ্বের সমস্ত মহান ব্যক্তিরা অহংকারের ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং অহংকার সম্পর্কে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। অহংকার সম্পর্কে উক্তি আপনার মনের দরজা খুলে দেবে, ইনশাআল্লাহ। স্বস্তির হাওয়া কাঁপিয়ে দেবে ভাবনার জানালায়।
পড়ালেখা কিছু মানুষকে শিক্ষিত নয় অহংকারী বানায়। কিন্তু তারা বোধ হয় ভুলে যায়, অহংকার পতনের মূল কারণ।
আমরা সবাই সময়ের হাতের পুতুল। তাই সময় নিয়ে কখনও অহংকার করোনা। আজ সময় তোমায় ভালো জিনিস দেখাচ্ছে, তার মানে এই নয় যে, কালও সে তোমার পক্ষেই থাকবে।
পাঁচ ধরনের লোকের অহংকার থাকে- I.সুন্দর হলে, II.ধনী হলে, III.উচ্চ বংশের হলে, IV.পড়া লেখা বেশী করলে, V.বড় কোন চাকরি করলে।
লেবু বেশী চিপলে যেমন তিতো হয়, তেমনি কাউকে বেশী ভালোবাসলে তার অহংকার বেড়ে যায়। তাই কাউকে তার চাহিদার চেয়ে বেশী ভালোবাসা দেওয়া উচিত নয়।
কিসের এতো অহংকার! চোখ বুজে দেখো- সাদা কাপড়, খাটিয়া, আর সাড়ে তিন হাত জায়গা ছাড়া তোমার আর কিছুই নেই।
টাকার গরম, ক্ষমতার দাপট, সম্পত্তির অহংকার ও রূপের বড়াই এগুলো রাখবে কোথায়? কাফনের তো পকেট নাই।
অহংকার কখনো মনে আসতে দিও না। আর আত্মসম্মানকে কখনো যেতে দিও না। কারণ অহংকার তোমাকে কখনো উপরে উঠতে দেবে না, আর আত্মসম্মান তোমাকে কখনো নীচে নামতে দেবে না।
অহংকার যার ভিতর থাকবে সে কখনো নিজের ভুল দেখতে পাবে না। আর অন্যের মধ্যে ভালো ভালো গুণ দেখতে চাইবে না।
এতো রূপের অহংকার কিসের? আপনি মরে গেলে তো আপনার নিজের আত্মীয়রা আপনাকে ছুঁয়েছে বলে স্নান করে ঘরে উঠবে।
অহংকার তারাই করে- যারা হঠাৎ করে এমন কিছু পেয়ে যায়। যা পাওয়ার যোগ্যতা তাদের কোনদিনও ছিল না।
অহংকার খুব ছোট একটি শব্দ। কিন্তু এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে, মানুষের পতনের অন্যতম কারণ।
অহংকারী ব্যক্তি কখনো বুঝতে পারে না যে সে আসলে একটা মূর্খ।
শরীরের সম্পত্তি নিয়ে কখনো অহংকার করতে নেই। কারণ অসুস্থতা আর দারিদ্রতা কখনো কাউকে বলে আসে না।
হিংসা ও অহংকার নিয়ে উক্তি
হিংসা খুব খারাপ জিনিস। তাই অনেকেই এই সহিংসতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চান উদ্ধৃতির মাধ্যমে। অথবা সহিংসতা সম্পর্কে উদ্ধৃতি সংগ্রহ করতে চান। তাই আমরা এই পোস্টে হিংসা সম্পর্কে কিছু উক্তি তুলে ধরেছি। নীচে দেওয়া সহিংসতা সম্পর্কিত উদ্ধৃতিগুলি সংগ্রহ করুন।
আমার জীবনের যেখানে নিশ্চয়তা নাই, তখন কী দিয়ে অহংকার করব?— আর্থার গুইটারম্যান।
এক কথায় নিজের বড়ত্ব জাহির করার অর্থ অহংকার।— হেনরি ফোর্ড।
চরিত্রের অহংকার সবচেয়ে বড় অহংকার।— জেফারসন।
প্রত্যেকটি অহংকারী লোককে দুঃসহ অবস্থার সম্মূখীন হতে হবে।— আরডি মিথ কুক।
গর্বের অবস্থান সকল ভুলের নিচে।— জন রাসকিন।
অহংকারকে জ্ঞানকেও টপকে যেতে পারে আর স্বাভাবিকভাবেই এটা সাধারণ জ্ঞানটুকুওকেও ঢেকে রাখে।— জুলিয়ান কাসাবিয়ানকাস।
ইতিহাসের পাতা খুলে দেখা যায় হিংসা এর পরশ্রীকাতরতা মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং হানাহানিতে লিপ্ত করেছে। – আর ডাব্লিউ গিল্ডার।
হিংসা থেকেই অধিকাংশ কুৎসা রটিত হয়। – মারিয়া এডওয়ার…
অন্তরে হিংসা পাষণ করে অন্যের ক্ষতি করা যায় না, নিজেরই সর্বনাশ করা হয়। – হযরত লােকমান (রাঃ)।
হিংসা তামাকে ধ্বংসের শেষ ধাপে নিয়ে যাবে। – এইচ জি ওয়েলস।
মরিচা লাহাকে বিনষ্ট করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। – ইবনুল খতিব।