পুত্র সন্তান লাভের আমল | এই আমলে টাকা আসবে বৃষ্টির ফোটার মত!

পুত্র সন্তান লাভের আমল
এই একটি আমল করার মাধ্যমে আপনার হাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অগণিত রিজিক ও অর্থ সম্পদ দান করতে পারেন। প্রিয় দর্শক আজকের পোস্টটিতে জানবো কোন আমল করলে আপনার হাতে বৃষ্টির মত অর্থ-সম্পদ দিতে পারেন আল্লাহ।
এবং পুত্র সন্তান লাভের আমল এমন একটি আমলের কথা আজ আপনাদেরকে জানাবো প্রিয় দর্শক সবাই চায় হালাল রুজি রুটির মালিক হতে কিন্তু সবাই ধন সম্পদের মালিক হতে পারে না, কোরআন হাদিসে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো পাট করে আল্লাহ সুবাহানাহু তাআলা এগুলোর বদৌলতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সম্পদ এবং নেক হায়াত আমাদেরকে দান করতে পারেন।
মনে রাখবেন এসব কিছুর মালিক কিন্তু আল্লাহ আপনি যদি কোন কিছু পেতে চান, তবে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে পেতে হবে। আজকে যে আমল নিয়ে আলোচনা করব সেটা শুধুমাত্র ধন-সম্পদ রিজিকের জন্যই নয় অর্থাৎ এই আমল করলে যে শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে টাকা-পয়সা আসবে তাই নয় এর বহুবিধ গুণ রয়েছে যেমন আপনার মনে মেঘ মাকসাদ পূরণ হতে পারে।
পুত্র শতনের আশা করছেন অথবা আপনি ভয়াবহ কোন দুশ্চিন্তে আছেন আপনার সেই পেরেশানি দূর হয়ে যেতে পারে এছাড়া এর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার যাবতীয় দুঃখ কষ্ট অন্তরের প্রশান্তি দান করতে পারেন এবং দুঃখ কষ্ট দূর করে দিতে পারে। সেই সাথে যারা চাকরি বাকরি পাচ্ছেন না ব্যবসায় উন্নতি করছেন না তাদের জন্য খুব দ্রুতই আল্লাহ এই আমলের মাধ্যমে চাকুরী এবং ব্যবসার সফলতা দান করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
এই শুরু করার আগে অবশ্যই ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে সেই দুরুদ হতে পারে দুরুদে ইব্রাহিম অথবা যেকোনো দুরুদ। যদি আপনার কোন দুরুদ জানা না থাকে তাহলে আপনি ১১ বার শুধুমাত্র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ে আমল শুরু করবেন। কেননা এটিও একটি দ্রুত ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করার পর ১০০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন এর অর্থ হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাই 
আল্লাহর রাসূল বলেছেন আমরা সবাই গুনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছি শুধু ওই ব্যক্তি ব্যতীত যে প্রতিনিয়ত ইস্তেগফারের উপরে আছে। আমাদের পক্ষে ছাড়া সম্ভব নয় কিন্তু এস্তেগফার তো ধরে রাখা সম্ভব তাই ইত্তেগফারের সাথে আপনাকে থাকতে হবে। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো একটা ফ্রি সময় নির্ধারণ করে এই আমলটি করতে পারেন ১০০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন তার আগে অবশ্যই ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন।
সেই সময়টা হতে পারে সকাল ফজরের পর বিকেল অথবা দিনের যে কোন সময় করতে পারেন। তবে তাহাজ্জুদের সময় উঠে করতে পারলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি প্রতিদিন এই আস্তাগফিরুল্লাহ দিল থেকে ১০০ বার পাঠ করবেন। কিছুটা অশ্রুসিক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন আল্লাহর কাছে নিজের গুনাগার জন্য লজ্জিত হবেন।
এমন নয় যে শুধু পড়েই যাচ্ছেন কিন্তু আপনি আবেগ অনুভূতি দ্বারা এই কথাগুলো বলছেন না আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করছেন না তা না হলে কিন্তু আপনার আমল দ্বারা তেমন কোন কার্যকারিতা আসবেনা। তো যাই হোক ১০০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ এবং ১১ বার দিল থেকে দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন তারপর ইয়াদানিও ইয়া ওয়াহাবু ১১ বার পাঠ করবেন। অবশ্যই আপনাকে এই আমলগুলো করার সময় এর অর্থ অন্তরে অনুভব করতে হবে।
ইয়া ইয়াদানিও এর অর্থ হে ঐশ্বর্যশীল ধনবান, ইয়া ওয়াহাবু অর্থ হে সর্বপ্রথা অতিশয় দানকারী এটা আল্লাহতালা ৯৯ টি গুণবাচক নামের দুটি নাম। তো আপনি যখন পড়বেন অন্তরে ঐশ্বর্যশালী ধনবান আল্লাহকে স্মরণ করবেন আর যখন আপনি আলো ইয়া ওয়াহাবু অথবা ইয়া ইয়াদানিও করবেন তখন সর্ব প্রধান কারী আল্লাহ তায়ালার নাম অন্তরের স্মরণ করবেন।
Scroll to Top