উচ্চ ফলনশীল পেঁপের জাত
আপনারা অনেকেই আছেন যারা পেঁপে চাষ করতে চান, কিন্তু পেঁপে চাষ করা সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন না।তাছাড়া অনেকেই পেঁপে চাষ করেন কিন্তু চাষ করার পর উচ্চ ফলনশীল পেঁপের জাত খুঁজে পান না। যদি পেঁপের সম্পর্কে বলতে যাই শুরুতেই আমি আপনাদেরকে বলবো পেঁপে একসাথে একটি ফল এবং সবজি হিসেবে ব্যবহৃত একটি ফসল এবং পাকা অবস্থায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল।
কাঁচা অবস্থায় পেটের মধ্যে ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ পেতে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান থাকায় মানবদেহে শরীরকে রাখে রোগমুক্ত। যে কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে খাবারের মেনুতে পেঁপের চাহিদা, চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে চাষাবাদ কিন্তু সমস্যা যেন একটাই সঠিক জাতের পেঁপের চারা এবং সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি।
এটি একটি বড় সমস্যা পেঁপে চাষে সফল প্রজেক্ট তৈরি ক্ষেত্রে, প্রথমত ভাল জাতের অভাব দ্বিতীয়তঃ পেঁপের চারা তৈরি যেন একটি কঠিন প্রক্রিয়া যা সাধারণত নতুন চাষি এবং উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে হয়ে যায় বেশ কষ্টসাধ্য। যে কারণে খুব বেশি তৈরি হচ্ছে না সফল পেঁপে প্রজেক্ট এসকল সমস্যার সমাধান হিসেবে আজকের আইডিয়া যুক্ত করেছে পেঁপের সফল প্রজেক্ট এর ক্ষেত্রে দুইটি জাতের পেঁপের চারা, একটি হচ্ছে হাইব্রিড পেঁপে কিউট লেডী দ্বিতীয়টি হচ্ছে স্মার্ট শাহী দেশি জাতের পেঁপের চারা।
পেঁপের দুইটি ভাল জাত স্মার্ট শাহী ও কিউট লেডী
কিউট লাডি একটি হাইব্রিড পেঁপের ভ্যারাইটি প্রতিটি গাছে হয় স্ত্রী গাছ, এবং প্রত্যেকটির গাছ থেকে গড় ফলন পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত প্রতিটি ফলের ওজন ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা পাকা অবস্থায় এবং কাঁচা অবস্থায় দুইভাবে বিক্রয় যোগ্য একটি পাকা অবস্থায় মিষ্টি এবং সুস্বাদু যুক্ত হওয়ায় অন্য পেঁপে তুলনায় বাজারমূল্য পথে যাত্রীদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে বিধায় এ জাতে হয়না কোন ভাইরাস এবং রোগ বালাই।
স্মার্ট শাহের ফলের গড় ওজন ২-৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে, যার প্রতিটি গাছের ফলন পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত। স্মার্ট শাহী গাছের আয়ুকাল ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। সারাবছর কাঁচা টাকা গুনতে সহযোগিতা করবে। আপনারা চাইলে স্মার্ট শাহী ও কিউট লেডী পেঁপে চাষ করে দেখতে পারেন।