ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে – কোরবানি ঈদ ২০২৪ | ঈদুল আজহা ২০২৪ কোন মাসে?
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে, ঈদুল আজহা ২০২৪ কোন মাসে? অনেকেই আছেন অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করছেন। কারণ আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষই আছে যারা দেশের বাইরে থাকে কিংবা এলাকার বাইরে থাকে সেক্ষেত্রে অগ্রিম ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে জানা খুবই জরুরী। শুধুমাত্র আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
জিলহজ্জ মাস অনুযায়ী, ১০ই জিলহজ্জ ২৮ জুন, সে অনুযায়ী বিভিন্ন আরব দেশে ২৮শে জুন পালিত হবে কোরবানি ঈদ ২০২৩। যদিও এটি সম্পূর্ণটাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে।
ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে
১৪৪৪ জিলহজ্জ মাসের ক্যালেন্ডার | ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে
২০২৩ সালের ঈদুল আজহা কত তারিখ – কোরবানি ঈদ ২০২৩ যারা জানতে চান এবং ১৪৪৪ হিজরি মাসের ক্যালেন্ডার দেখতে চান। নিচে তাদের জন্য জিলহজ্জ মাসের ক্যালেন্ডার দেওয়া হল। বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ২৮ জুন ২০২৩, বাংলাদেশের কোরবানি ঈদ ২৯ জুন উদযাপিত হবে। যারা ২০২৩ সালের ঈদ-উল-আযহার তারিখ জানতে চান তাদের জন্যন জিলহজ্জ মাসের ক্যালেন্ডার।
১৪৪৪ জিলহজ্জ মাসের ক্যালেন্ডার
জিলহজ মাসের রোজা ও আরাফাতের রোজা
আরাফাতের দিনটি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। যারা হজ করতে আসেন তারা এদিন আরাফাত ময়দানে এসে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আর আল্লাহ তায়ালা সেই মুসলমানদের দোয়া কবুল করেন। আরাফাত ময়দানে হাজী মুসল্লিরা যখন সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন, তখন সব মুসলমান তাদের সঙ্গে রোজা রাখেন।
এক লোক নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করল, জিলহজ মাসের ৯ তারিখে(আরাফাতের দিন) আমরা যে রোজা থাকি তার গুরুত্ব টা কি? নবীজি উত্তর দিলেন, “যদি কেউ রোজা রাখে আরাফাতের দিন তার দুই বছরের গুনাহ ক্ষমা করা হবে সেখানে একটা বছর আগের বছর এবং আরেকটি বছর হল পরের বছর”
জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল
জিলহজ্জের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, এমন কোনো দিন নেই যার ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ্জের প্রথম দশকের ইবাদতের চেয়ে প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রতিটি দিন রোজা রাখা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রতিটি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য। (তিরমিযী) মূলত যারা হজে যায় তারা জিলহজ মাসের প্রথম দশক বিশেষ ইবাদতে কাটাতে চেষ্টা করে।
তাই দেখা যায় ৮ জিলহজ সকাল থেকেই তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজীরা। হজরত সাহল ইবনে সা’দ (রা.) বর্ণনা করেন: মহানবী (সা.) বলেছেন, “যখন কোনো হাজী তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার চারপাশের সমস্ত পাথর, পাথর, পাহাড়, গাছপালা তালবিয়াতে অংশগ্রহণ করে” (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)।
পরের দিন অর্থাৎ জিলহজের নবম তারিখ আরাফার দিন। ওই দিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করা হজের সবচেয়ে বড় স্টপেজ। এর মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। মহানবী (সা.) বলেছেন, আরাফার দিনের চেয়ে আল্লাহ তায়ালা অন্য কোনো দিনে জাহান্নাম থেকে বেশি মানুষকে মুক্তি দেন না। সেদিন তিনি দুনিয়ার কাছে এসে গর্বভরে ফেরেশতাদের বললেন, দেখ, আমার বান্দারা এলোমেলো চুল ও ধূলিময় শরীর নিয়ে আমার দরবারে এসেছে।
লাব্বাইকা চিৎকার করছে। আপনার সাক্ষী হিসাবে, আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আরাফার দিনে শয়তান সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত, অপমানিত ও ক্রুদ্ধ হয়। কেননা তখন সে আল্লাহর অধিক রহমত ও বান্দার গুনাহ মাফ দেখতে পায়’ (মেশকাত)।
জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে যা পাওয়া যায় তাহলো-মহানবি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে’ (ইবনে মাজাহ)। তাই জিলহজ মাসে প্রবেশ করার আগেই আমাদের চুল ও নখ কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান’ (সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিম)।
কোরবানীর পশু জবাই করার নিয়ম
ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে – অনেকে আছে কোরবানি দেই কিন্তু কোরবানি করার দোয়া জানেনা। তাদের জন্য নিচে পশু জবাই করার দোয়া টি দেওয়া হল।